২০১৪ এর আর্জেন্টিনার আক্ষেপ মিটবে ২০১৮-তে?
প্রকাশিত : ২২:৩৮, ৭ জুন ২০১৮ | আপডেট: ১৮:০৮, ১০ জুন ২০১৮
২০১৪ এর ফিফা বিশ্বকাপে ফাইনালে গিয়েও শিরোপা অধরাই থেকে যায় আর্জেন্টিনার কাছে। ১৯৮৬ বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক ম্যারাডোনার ছায়া যে মেসির মধ্যে দেখা যায় অনেক চেষ্টা করেও সেই মেসিও সফল হতে পারেননি। এক পর্যায়ে জাতীয় দল থেকে অবসরের ঘোষণাও দেন। আক্ষেপের পারদ যে এতটাই উঠতি ছিল। সেই আক্ষেপ এবারের রাশিয়া বিশ্বকাপে ঘুচবে কী না সেটাই এখন দেখার বিষয়।
শেষ বিশ্বকাপের ব্রাজিলের মাঠে ফাইনালের মূল ৯০ মিনিট ছিল গোলশূণ্য। খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। কিন্তু সেখানেই নীল-আকাশি শিবিরের স্বপ্নভঙ্গ করে দেয় জার্মানি। আসলে বিশ্বকাপের আগে আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডার মার্কোস রোহো জানালেন, ২০১৪ বিশ্বকাপের সেই দুঃখটা রাশিয়ার মাঠেই ভুলতে চান তাঁরা।
ব্রাজিল বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে নেদারল্যান্ডসকে টাইব্রেকারে পরাজিত করে শিরোপা জয়ের লড়াইয়ের শেষ ধাপে গিয়েছিলেন মেসি-ডি মারিও-রোহোরা। ফাইনাল ম্যাচটিও সেদিকে যাবারই ইঙ্গিত দিচ্ছিল। তবে ম্যাচের ১১৩ মিনিটে জার্মানির মারিও গোটজের গোল স্তব্ধ করে দেয় মেসিদের। ২৮ বছর পরও আর্জেন্টিনা নিজেদের তৃতীয় শিরোপা জিততে না পারলেও দুই যুগ পর জার্মানরা জিতে নেয় তাদের ইতিহাসের চতুর্থ শিরোপা।
এবার রাশিয়া বিশ্বকাপ যখন মাঠে গড়াবে, আর্জেন্টিনার শিরোপার অপেক্ষা বেড়ে দাঁড়াবে ৩২ বছরে। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের অফিশিয়াল পত্রিকা ‘ইনসাইড ইউনাইটেড’র মুখোমুখি হয়ে কথা বলেছেন রোহো। ইংলিশ ক্লাবটির এই ডিফেন্ডার চান ব্রাজিলের সেই বেদনাকে দাফন করে রাশিয়ার মাঠে আনন্দে ভাসতে। তিনি বলেন, ‘আর্জেন্টিনার জার্সি পরে মাঠে নামলে আমরা সর্বোচ্চটা দেওয়ার চেষ্টা করি। গত বিশ্বকাপের আক্ষেপ আমরা রাশিয়ায় ঘোচাতে চাই। ভক্ত-সমর্থকদের শিরোপা জয়ের আনন্দে ভাসাতে যা কিছু করা দরকার, তার সবই করব আমরা।’
এবারের বিশ্বকাপে ‘ডি’ গ্রুপে আছে আর্জেন্টিনা। সেখানে তাদের প্রতিপক্ষ ক্রোয়েশিয়া, নাইজেরিয়া ও আইসল্যান্ড। প্রথম পর্বের লড়াইয়ের আগে দল নিয়ে বেশ আশাবাদী রোহো। সুপার ঈগলসদের সঙ্গে বেশ কয়েকবারই বিশ্বকাপের মঞ্চে লড়েছে আর্জেন্টিনা। ক্রোয়েশিয়া ও প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে পা রাখা আইসল্যান্ডকে কোনভাবেই খাটো করে দেখছে না আর্জেন্টিনা শিবির।
দলের মূল তারকা মেসিতেই ভরসা রাখছেন এই ডিফেন্ডার। রোহোর ভাষ্যে, ‘এই নিয়ে মনে হয় তিন-চারবার নাইজেরিয়া আর আমরা একই গ্রুপে পড়লাম। গ্রুপটাও বেশ কঠিন। ক্রোয়েশিয়া ও আইসল্যান্ডও ছেড়ে কথা বলবে না। তবে মেসিকে নিয়ে আমরা আত্মবিশ্বাসী, আশা করছি সে দলের জন্য দারুণ কিছু করবে।’
গত বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার রক্ষণভাগে দারুণ দক্ষতা দেখিয়েছিলেন তরুণ রোহো। সেই নৈপুণ্যের সুবাদেই পর্তুগিজ ক্লাব স্পোর্টিং লিসবন থেকে সোজা ওল্ড ট্রাফোর্ডে পাড়ি জমিয়েছিলেন ২৮ বছর বয়সী এই ডিফেন্ডার। যদিও শেষ মৌসুমটা চোটের কারণে বলা চলে মাঠের বাইরেই কাটিয়েছেন রোহো।
তবে সবকিছু ছাপিয়ে রাশিয়া বিশ্বকাপের শিরোপা আর্জেন্টিনা নিজেদের ঘরে নিতে পারে কী না সেটিই এখন দেখার বিষয়।
সূত্রঃ ইনসাইড ইউনাইটেড
//এস এইচ এস//এসি